Thursday, 3 December 2020

রোহিত কুমার সরদার


ভুলো মন
রোহিত কুমার সরদার 


মনটা কোথায় যায়

আটকে রাখা দায়! 

ভুলো মনের কথা 

লেখা ভরা খাতা। 

তার মধ্যে একটা 

শোন দিয়ে মনটা। 


সেদিন সরবেড়িয়ার মোড়ে 

বার কতক ঘুরে 

ধরেছি যেই বাস, 

মন বলে আরে সর্বনাশ! 

মানিব্যাগটা রইল পড়ে 

কলু তোলার মোড়ে। 

বাসের থেকে নেমে 

যাচ্ছি অনেক ঘেমে। 


ফিরে কলু তোলার মোড়ে 

দেখি দুটো বিড়াল ধেড়ে 

ব্যাগটা নিয়ে ক্যাচ খেলছে 

চোখগুলো প্যাচ্ প্যাচ।

আমায় দেখে চুপ

ভয় পেয়েছে খুব। 


বলি ব্যাগটা আমায় দে

দু-এক পয়সা নে,

আমার কথা সাচ্

খেতে দেব মাছ।

আমি তো নই কুট

হায়! ব্যাগ নিয়ে দে ছুট!

পিছু পিছু ধাই

আর কি তাদের পাই?

সুনন্দ মন্ডল


আজীবন যৌবন
সুনন্দ মন্ডল


হাজার কুঁড়ির ভিড়ে ফোটা

নতুন ভোরের ফুল।

শিশু থেকে বিকশিত হতে

চলো সব স্কুল।


বিশাল পাহাড় ডিঙিয়ে চলো

বাধার গন্ডি কেটে,

বিশ্ব সভায় নিজেকে চেনাও

ভালোবেসে হিংসা ছেঁটে।


নতুন ভোরের সূর্য হয়ে

হৃদয় উজ্জ্বলিত রাখো।

আজীবন যৌবনে ডুবে

সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখো।

বাপ্পা দাস


মিমির কাঞ্চু 
বাপ্পা দাস 


জানালা দিয়ে দেখছে মিমি

দূরের পাহাড়টাকে,

আদর করে যাকে সে 

কাঞ্চু বলে ডাকে।


রোজ যেখানে সূর্য ওঠে

স্লিপিং বুদ্ধ'র ফাঁকে,

সুযোগ পেলেই রং নিয়ে

যার ছবি সে আঁকে।

অনিন্দ্য পাল


ফড়িং
অনিন্দ্য পাল 


ছোট বেলায়, আটার আঠায় 

ফড়িং ধরতে পেলে 

মজার মজায় খুশি হতাম 

বনবাদাড়ে খেলে,

কাঠির মাথায় ফরর ফরর 

আটকে নিয়ে ফড়িং 

চোখ পালিয়ে মা দিদিদের 

লম্ফ তিড়িংবিড়িং 

কখন যেন যেত মরে 

কখন ফড়িং লাশ 

কানটা ধরে মা বলতো 

মার কি খেতে চাস, 

আমার তখন কষ্ট কেমন 

মনটা চুরচুর 

মরলো কেন ফড়িং সোনা 

এতই মজবুর, 

এখন যখন চারপাশে ফাঁদ 

সামলে নিয়ে বাঁচি 

মরা ফড়িং ওড়ে দেখি 

একলা আমি নাচি।

হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়


পাখি
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়


পাখি তোর নামটা আমায় বল

কোন গ্রামেতে থাকিস রে তুই?

কোন স্কুলে তোর পড়াশোনা?

বন্ধু হবো তুই আমি― দুই।


তোর কাছে নেই জাতের বালাই

আকাশ জুড়ে বাঁধন ছেঁড়া

উড়িস ঘুরিস সারাটা দিন

দিনের শেষে বাসায় ফেরা।


তোর মধ্যে নেইকো উচ্চ-নীচ

সবার সাথে প্রাণখুলে তুই

উড়ে উড়ে কথার মালা

ভাগাভাগি সবার সাথে।


লেখাপড়া শিখবো না আর

তোর কাছে আজ নেবো যে পাঠ

কেমন করে বিভেদ ভুলে

মনের দরজা রাখবো রে হাট।

প্রতি মাসের জনপ্রিয় লেখা